জল-স্থল-অন্তরীক্ষ, যেখানে যতই প্রচেষ্টা চালাক না কেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি যে নিজের সীমানার বাইরে পররাষ্ট্রের একচুল জায়গাও দখল করতে পারবে না সে সম্পর্কে চীনকে রীতিমতো কড়া বার্তা দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই উদ্দেশ্যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে শুরু হয়ে গেল মালাবার নৌ মহড়ার ২৪তম সংস্করণ ‘মালাবার ২০২০’। দুই দফার এই নৌ মহড়ায় ভারতের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং জার্মানি।
চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলি। তবে এই নৌ-মহড়ায় অস্ট্রেলিয়ার যোগদান চীনের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত এবং চীনের মাঝে যে উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই নৌ-মহড়ার উদ্দেশ্য চীনের বিরুদ্ধে ভারতের শক্তি প্রদর্শন।
উল্লেখ্য, মালাবার নৌ-মহড়ার প্রথম পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইস্টার্ন ফ্লিটের কমান্ডিং ফ্ল্যাগ অফিসার রিয়ার অ্যাডমিরাল সঞ্জয় বাৎসায়নের নেতৃত্বে গতকাল বিশাখাপত্তনমে নৌ মহড়া শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত এই মহড়া চলবে বলে জানানো হয়েছে। নৌ মহড়ায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের তরফ থেকে নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার রণবিজয়, ফ্রিগেট শিবালিক, অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল সুকন্যা, শক্তি, সাবমেরিন সিন্ধুরাজ পৌঁছে গিয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
এছাড়াও জেট ট্রেনার হক, পি-8 আই (যা উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়), ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট এবং একাধিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। ভারতীয় নৌ-বাহিনী ছাড়াও মার্কিন নৌবাহিনী, জাপান মেরিটাইম সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স এবং রয়াল অস্ট্রেলিয়ান নেভি এই নৌ-মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলি সমুদ্রের বুকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে।