বিজ্ঞানীদের পারেন অদ্ভুত সমস্ত জিনিসপত্র আবিষ্কার করতে।এই পৃথিবীর সাধারণ কিছু জিনিসপত্র দেখে তারা তৈরি করতে পারেন অসাধারণ সমস্ত গ্যাজেট। আমরা সকলেই জানি যে, পাখিদের আকাশের উড়ান দেখে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ড্রোন।আবার পিঁপড়ের সারিবদ্ধ এবং সুশৃংখল চলার গতি দেখে তারা সীমাবদ্ধ করেছিলেন রোবট অথবা যন্ত্রমানবের যাতায়াত। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার এর মধ্যে এবার নতুন সংযোজন হলো স্কুইডবট। এটি একটি মিশ্র শব্দ।সামুদ্রিক প্রাণী স্কুইড এবং রোবট এই দুই শব্দ জুড়ে তৈরি করা হয়েছে স্কুইডবট। ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিএগো কলেজের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই নতুন রোবট। কেন এমন যন্ত্র উৎপাদনের প্রয়োজন হল, সেটি হয়তো তার নাম শুনেই অনুমান করা যায়।
সমুদ্রের গভীর তলদেশে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব নয় কোন মানুষের। কিন্তু এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে একমাত্র যন্ত্র। মানুষের পক্ষে যদিও সম্ভব হয় সমুদ্রের তলদেশে থাকা,কিন্তু মানুষকে কাছাকাছি আছে দেখলেই তার থেকে দূরত্ব বজায় করতে চাইবে সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী। সমুদ্রের তলার প্রবাল প্রাচীর ও বিশেষ করে ক্ষতির মুখে পড়বে মানুষের স্পর্শে।
Autonomous jet-propelled 'squidbot' explores the deep blue. Learn more and see it in action here: https://t.co/nB7NceSeMc#robotics #automation #technology pic.twitter.com/M4m8ZmqEXS
— DPA Magazine (@DPAONTHENET) October 8, 2020
এছাড়া যে মানুষটি সমুদ্রের তলদেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য যাবে, তার উপর হতে পারে কোন বড় মাপের হিংস্র জন্তুর দ্বারা আক্রমণ।এভাবে চলতে থাকলে বিজ্ঞানীরা কোন বড় আবিষ্কার করতে পারবেন না। এমতাবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগো কলেজের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, তাদের তৈরি এই রোবট একই সঙ্গে সবকিছু বিপদ সামাল দিতে পারবে। যেহেতু এটিকে অনেকটা সামুদ্রিক প্রাণীর মতো দেখতে, তাই সমুদ্রের তলায় অবাধে ঘোরাফেরা করতে পারবে এই রোবট। যদি কোন সময় এটি খারাপ হয়ে যায়, অথবা কোন বড় জলজন্তু এটিকে খাবার ভেবে গিলে ফেলে, তাহলেও কোন সমস্যা নেই।একটি খারাপ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি কে ছেড়ে দেওয়া যাবে জলের মধ্যে।এমতাবস্থায় শুধুমাত্র তথ্যের লোকসান ছাড়া আর কোন বড়োসড়ো লোকসান হবে না।
This 'squidbot' uses jet propulsion to navigate the ocean pic.twitter.com/bP4x3DvheK
— The Independent (@Independent) October 7, 2020
স্কুইডবট প্রতি সেকেন্ডে পাড়ি দিতে পারে ১৮-৩২ সেন্টিমিটার। এর আগে এত দ্রুতগতির রোবট তৈরি হয়নি।সমুদ্রের তলদেশের সমস্ত খবর ছবি অথবা ভিডিও করে পাঠিয়ে দেবে সমুদ্রের উপরে এই রোবটটি।যেহেতু জলের মধ্যে কাজ করবে রোবট, তাই জলের সংস্পর্শে একেবারেই খারাপ হবার প্রশ্নই উঠছে না। এই রোবটটি একদিক থেকে জল ঢুকবে, অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যাবে।এ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার দিব্যি জল সাঁতরে এগিয়ে যাবে এই স্কুইডবট।